টঙ্গীতে গণ-ধর্ষণ; আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা গ্রেফতার-৫
বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ-- টঙ্গীর মরকুন কবরস্থান এলাকায় গণ ধর্ষণ ঘটনায় গত মঙ্গলবার টঙ্গী পূর্ব থানায় দায়েরকৃত মামলার ভিত্তিতে আসামি ধরতে গেলে আসামী পক্ষের সাথে পুলিশের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছে। এসব ঘটনায় দুইজন ধর্ষণকারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। এজাহার সুত্রে জানা যায়, পোশাক কর্মী ধর্ষিতার সাথে ৭মাস পূর্বে মরকুন এলাকার যুবক আসাদুজ্জামান শাওনের (২৮) মুঠোফোনে ফেসবুকে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গভীর হলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করে শাওন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৯ তারিখ ধর্ষিতাকে প্রেমিকের বাসায় আসতে বললে সে রাজি হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাওন তার বন্ধুরা মোবাইল ফোনে ধর্ষিতাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রাণ বাচাঁতে একই দিন গভির রাত দেড়টার দিকে সে প্রেমিকের বাসায় যাওয়ার পথে মরকুন গণ কবরস্থান এলাকায় পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা শাওন, তার বন্ধু বাবুল হোসেন বাবু (২৭) ও রিপন মিয়া (৩০) মুখ চেপে ধরে কবরস্থানের ভিতরে নিয়ে যায়। পরে তাকে পালাক্রমে রাতভর ধর্ষণ করে। রাত শেষের দিকে সে ডাক চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ঘটনাস্থলের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। উদ্ধারকারীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯- এ অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ধর্ষক বাবুকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে অন্য আসামীদের ধরতে গেলে আসামীর পক্ষের লোকজন পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এতে পুলিশ সদস্য আমজাদ শরিফ গুরুতর আহত হয়। তাকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ১২ জনকে এজাহারভুক্ত ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় পৃথক আরো একটি মামলা করা হয়। পুলিশ এ মামলায় ধর্ষণকারী শাওন, তার পিতা লুৎফর রহমান কালু তার দুই স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও সনি বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন, গণ ধর্ষণ ও হামলার ঘটনায় থানায় পৃথক দুই মামলা দায়ের করে দুজন ধর্ষণকারীসহ পাচঁজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকিদের ধরার অভিযান অব্যাহত আছে।